কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার গুণাবলি অর্জন করার উপায় খুব কঠিন কিছু নয়। আমরা সবাই নিজ নিজ ক্যারিয়ারে সফল হতে চাই। কর্মক্ষেত্রে সফল মানে সর্বোচ্চ প্রোডাক্টিভিটির সাথে নিজের কাজ করতে পারা এবং সেই কাজ দিয়ে নিজের আর্থিক, সামাজিক ও অন্যান্য সবকিছুকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।
সফল মানুষ হিসেবে অনুসরণীয় ব্যক্তি মনে করা হয়ে থাকে বিল গেটস, স্টিভ জবস, মার্ক জাকারবার্গ, জ্যাক মা, জেফ বেজোসদের। তাদের ভেতর ‘কমন’ একটা গুণ আছে আর তা হল, সবাই অসাধারণ নেতা। কিন্তু সমস্যা হল এটা জেনেও অন্যরা গুণটির অধিকারী হতে পারেন না। মনস্টার ওয়েবসাইটের কিছু পরামর্শ আছে, যেগুলো কাজে লাগিয়ে এই গুণ আয়ত্তে আনতে পারেন।
কাজের প্রতিটি বিষয়ে গভীর মনোযোগ দিন : আপনি যে কাজই করেন না কেন, কাজের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ের প্রতি গভীর মনোযোগ দিন। কিভাবে কাজ হচ্ছে, আপনার কাজের ফলে কোথায় কি পরিবর্তন হচ্ছে – সব বিষয় গভীর ভাবে খেয়াল করুন। এতে করে, কাজের বিষয়ে সবকিছু আপনার নজরে আসবে। যতক্ষণ কাজ করবেন– কাজে পূর্ণ মনোযোগ বা ফোকাস রাখুন। এর ফলে কাজটিকে আপনি খুব ভালোমত বুঝতে পারবেন।
পরিকল্পনা করে কাজ করুন : গুছিয়ে কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ছকে বাঁধা পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কোন দিন কোন কাজ করবেন – কতটুকু কাজ করবেন, এগুলো রুটিন করে নিন। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একটা রুটিন দেয়া হবে, আর সেই রুটিন ফলো করার জন্য আপনার নিজেরও একটি রুটিন থাকতে হবে। নিজের একটি খাতা/বোর্ড অথবা কম্পিউটারের ফাইলে করণীয় কাজগুলো গুছিয়ে রাখুন।
সব সময়ে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন : আপনি যে ধরনের কাজেই করেন না কেন, সেই বিষয়ে সবকিছু জানা সম্ভব নয়। প্রতিটি বিষয়ই দিন দিন আপডেট হচ্ছে। সময়ের সাথে আপনিও যদি নিজেকে আপডেট করতে পারেন, তবে কর্মক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাবেন। আপনি যদি একজন মার্কেটার হন, তবে প্রতিদিন মার্কেটিং বিষয়ে কিছু না কিছু পড়ার চেষ্টা করুন। এ্যাকাউন্টেন্ট, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার যেটাই হোন না কেন – চাইলেই নতুন নতুন বিষয় শিখতে পারবেন।
ম্যাগাজিন, বই, টিউটোরিয়াল, রিসার্চ পেপার গুলোতে প্রতিদিনই নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা আসছে। এখন ইন্টারনেটের কল্যাণে যে কোনও বিষয়েই আপডেট থাকা অনেক সহজ হয়ে গেছে। শুধু প্রয়োজন সদিচ্ছা। এর বাইরে সময় পেলে নতুন নতুন কোর্স করুন, সিনিয়রদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন।
আশাবাদী : অফিসের অন্যরা যে প্রজেক্ট নিয়ে হতাশা দেখাবেন, সেই প্রজেক্টে আপনি যদি যুক্তিসংগতভাবে আশার ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে পারেন, তবে বসের নজরে পড়বেন। এ জন্য ‘গালভরা’ কথা না বলে আপনাকে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। একে বলে ‘সিক্রেট অব নেচার’।
লেস অ্যাটাক, মোর রেসপেক্ট : সহকর্মীর ভুল ধরার প্রবণতা বাদ দিন। ধরতে হলে সহমর্মিতা নিয়ে কথা বলুন। নিজেকে জাহির করতে গেলে সম্পর্ক নষ্ট হবে। কেউ আপনাকে গুরুত্ব দেবে না।
পেশাদার মনোভাব : সব সময় কাজের বিনিময়ে কথা বলার চেষ্টা করুন। কাউকে জবাব দিতে হলে কাজ দিয়ে দিন। যে কাজ অন্য কেউ ছেড়ে দেবে, উৎসাহ দেখাবে না সেই কাজে আপনি এগিয়ে যান।
বাড়তি সময় : কাজ সবাই করে। কেউ কেউ বাড়তিও করে। কিন্তু ক্রেডিট সবাই পায় না। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাড়তি কাজ করতে পিছপা হবেন না। অযথা বাড়তি সময় না দিয়ে গুরুত্ব বুঝে বেশি কাজ করুন।
লেগে থাকা : কাজ শেষ না করা পর্যন্ত এর পেছনে লেগে থাকতে হবে। ধৈর্য ও একাগ্রতা ছাড়া কোনোভাবে সফলভাবে নেতৃত্ব দেয়া যায় না।